সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৫ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
ফুলকুঁড়ি আসর এর ফাইনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের অনুষ্ঠিত আওয়ামী ঘরানার বিতর্কিত লোকদের দিয়ে উজিরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের কমিটি গঠন করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সান্টু খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা
ঝালকাঠিতে পঙ্গু মায়ের খোঁজ খবর নেয় না ছেলে

ঝালকাঠিতে পঙ্গু মায়ের খোঁজ খবর নেয় না ছেলে

ঝালকাঠি প্রতিনিধি ॥ ২৫ বছর আগে তিন বছরের শাহজাহানকে রেখে মারা যান বাবা ইয়াছিন হাওলাদার। বসতভিটা ছাড়া কিছুই রেখে যাননি তিনি। স্ত্রী শাহাবানু অন্যের বাসায় কাজ করে ছেলে শাহজাহানকে লালন-পালন করেন। খেয়ে না খেয়ে ছেলেকে বড় করেন মা। কিন্তু ছেলে বড় হয়ে মাকে রেখে চলে যান। ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার পুটিয়াখালী গ্রামের বাসিন্দা শাহাবানু। দুঃখে-কষ্টে চলে তার সংসার। জীবনের শেষপ্রান্তে এসে হামাগুড়ি দিয়ে চলেন তিনি। পৃথিবীতে আপন বলতে কেউ নেই। শাহাবানুর কষ্টের দিনগুলোতে সহায়তা করেছেন প্রতিবেশীরা। এরই মধ্যে ১০ বছর সহায়তা করেছেন এমন দাবি তুলে সহায়তার অর্থ লিখে রাখেন এক প্রতিবেশী। এরপর সহায়তার অর্থ শাহাবানুর কাছে ফেরত চান তার প্রতিবেশী। কিন্তু ওই অর্থ ফেরত দেয়ার মতো অবস্থা ছিল না শাহাবানুর। এ অবস্থায় তার বসতভিটার জমির দিকে নজর দেন প্রতিবেশী।
পরে ওই প্রতিবেশীকে জমি লিখে দেন শাহাবানু। ছাড়তে হয় তাকে বসতভিটা। প্রতিবেশীকে জমি লিখে দেয়ার ক্ষোভে ১৪ বছরের ছেলে শাহজাহান মাকে ফেলে চলে যায়। অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংগ্রাম করছিলেন শাহাবানু। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অন্যের বাড়িতে কাজ করার সময় পুকুরঘাটে হোঁচট খেয়ে কোমরে আঘাত পান শাহাবানু। সেই থেকে আর কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারেননি তিনি। এখন চলাফেরা করতে অক্ষম। বর্তমানে তার বয়স ৭০ বছর। হাঁটু ও দু’হাতে ভর করে হামাগুড়ি দিয়ে চলাফেরা করেন তিনি। বিষয়টি জেনে স্থানীয় ইউপি সদস্য তাকে একটি বয়স্কভাতার কার্ড করে দেন। চলাফেরায় অক্ষম হওয়ায় এক প্রতিবেশীকে ১২০ টাকা দিয়ে বয়স্কভাতার টাকা উত্তোলন করান। অন্যের বাড়িতে থাকেন তিনি। শাহাবানু বলেন, আমাকে ছেড়ে ছেলে শাহজাহান চলে গেছে। থাকে পাশের গ্রামে। বিয়ে করে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে শান্তিতে আছে। কিন্তু আমার খোঁজখবর নেয় না।
পরনে একটা কাপড় নেই আমার। ছেঁড়া কাপড়ে শরীর ঢেকে চলতে হয়। হাঁটতে পারি না, হামাগুড়ি দিয়ে চলতে হয়। ছেলে খোঁজ না নিলেও অভিযোগ দেই না কারও কাছে। সন্তান তো আমার। পেটে ধরেছিলাম, কষ্ট করে বড় করেছি। এজন্য অভিশাপও দেই না। শাহাবানু বলেন, কেউ যদি আমার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতো, থাকার একটু ব্যবস্থা করে দিতো; খাবার এবং পরনের কাপড় দিতো তাহলে মরার আগে একটু স্বস্তি পেতাম।
পুটিয়াখালীর স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ শাহাদাত বলেন, শাহাবানুর ছেলে থাকতেও নেই। ছেলে শাহজাহান মাকে ছেড়ে চলে গেছে। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সুখে আছে তার ছেলে। কিন্তু মা শাহাবানু কষ্টে আছে। তার থাকার স্থান নেই, খাবারের ব্যবস্থা নেই। এমনকি পরনের কাপড় নেই। হামাগুড়ি দিয়ে চলতে হয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ফারুক মোল্লা বলেন, শাহাবানু অসহায় মানুষ। চলতে পারেন না, খাইতে পারে না, নেই পরনের কাপড়। তাকে একটি বয়স্কভাতার কার্ড করিয়ে দিয়েছি। তার পাশে দাঁড়াতে বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানাই।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com